
আহের সিরিজের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজেও নেই দলের সবচেয়ে বড় দুই তারকা ব্যাটার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। এ নিয়ে তুমুল আলোচনা পাকিস্তান ক্রিকেটে। এই সংস্করণে তাদের ভবিষ্যত এমনকি দল নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়েও চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এসব নিয়ে কথা বললেন দলটির নতুন কোচ মাইক হেসন।
পাকিস্তানের জার্সিতে সবশেষ ১১ টি-টোয়েন্টিতে ফিফটি নেই বাবরের। চলতি পিএসএলে ২৮৮ রান করেছেন তিনি ১২৮.৫৭ স্ট্রাইক রেট ও ৩৬ গড়ে; ফিফটি তিনটি। তার নেতৃত্বে এবার প্লে-অফেই উঠতে পারেনি পেশাওয়ার জালমি।
রিজওয়ান অবশ্য ছন্দেই আছেন। দেশের হয়ে সবশেষ ১২ ইনিংসে তার ফিফটি চারটি। তবে এই কিপার-ব্যাটসম্যান পাকাপাকিভাবে অধিনায়ক হওয়ার পর তার নেতৃত্বে পাঁচ টি-টোয়েন্টির একটিও জিততে পারেনি পাকিস্তান। তার জায়গায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অধিনায়ক করা হয় সালমান আলি আগাকে। বাংলাদেশ সিরিজেও নেতৃত্ব দেবেন তিনি।
পিএসএলেও ব্যাট হাতে বেশ উজ্জ্বল রিজওয়ান। মুলতান সুলতান্সের হয়ে ১৩৯.৫৪ স্ট্রাইক রেট ও ৫২.৪২ গড়ে ৩৬৭ রান করেছেন তিনি। পেয়েছেন একটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটি। কিন্তু তার দল ষষ্ঠ হয়ে বাদ পড়েছে আসর থেকে।
এই দুইজনের টি-টোয়েন্টি ভবিষ্যৎ নিয়ে স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় হেসনকে। গত মাসে দায়িত্ব পাওয়া নিউজিল্যান্ড কোচ এই প্রসঙ্গে পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দেন, অভিজ্ঞতা ও খ্যাতি দলে জায়গা পাওয়ার একমাত্র মানদণ্ড হবে না। তার মতে, পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নির্দিষ্ট ভূমিকা পালন করতে সক্ষম, এমন ক্রিকেটারই দলে চান তিনি।
“দলে আমরা কী ভূমিকা পালন করতে চাই, কী ঘরানার ক্রিকেট খেলতে চাই, তার ওপর ভিত্তি করে পরিকল্পনা সাজানো হবে। আমরা যেভাবে খেলতে চাই, সেটা যদি নিশ্চিত করতে পারি, সেখানে অবশ্যই (প্রতিটি পজিশনে) উল্লেখযোগ্য ও নির্দিষ্ট ভূমিকা থাকবে এবং তারপর সেই ভূমিকা পালনে সক্ষম খেলোয়াড়দের নিয়ে জায়গাগুলো পূরণ করা হবে।”
পাকিস্তান ক্রিকেটের দায়িত্ব পেয়ে ভীষণ খুশি ৫০ বছর বয়সী হেসন দলটিকে সাফল্যের শিখরে তোলার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।
“আমি সুযোগটি পেয়ে খুবই রোমাঞ্চিত। আমার বিশ্বাস, পাকিস্তান দলে উল্লেখযোগ্য উন্নতি নিয়ে আসতে পারব। সাদা বলে আমার দলকে এমন ঘরানার ক্রিকেট খেলতে সহায়তা করতে পারব যে ধরন আধুনিক, সফল এবং ম্যাচ জেতাতে পারে। আমরা এমন ক্রিকেট খেলব, যা দলকে সমর্থন করার জন্য আবারও ভক্তদের অনুপ্রাণিত করবে। আমি খুশি, তবে আমি জানি এটি চ্যালেঞ্জিং হবে।”
বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সিরিজটি হওয়ার কথা ছিল পাঁচ ম্যাচের। তবে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সংঘাতে অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের সফরই। শেষ পর্যন্ত দুই দেশের বোর্ডের আলোচনায় সফর চূড়ান্ত হলেও সিরিজ নেমে আসে তিন ম্যাচে।
২৮মে থেকে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে। দ্বিতীয় ম্যাচ হবে ৩০ মে। পহেলা জুন অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ। সবগুলো ম্যাচই হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ন’টায়।