
চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসের অন্যতম নাটকীয় ও উত্তেজনাকর সেমিফাইনাল ম্যাচে বার্সেলোনাকে ৪–৩ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে ইন্টার মিলান। দুই লেগ মিলিয়ে ৭–৬ গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে দ্বিতীয়বার উঠল ইতালিয়ান জায়ান্টরা।
সান সিরোর রুদ্ধশ্বাস দ্বিতীয় লেগে ম্যাচটি নির্ধারিত সময় শেষে ৩–৩ গোলে ড্র হলে গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেই বদলি খেলোয়াড় ডেভিড ফ্রাত্তেসির জয়সূচক গোল বার্সেলোনার বিদায় নিশ্চিত করে দেয়। প্রথম লেগেও দুই দল ৩–৩ গোলে ড্র করেছিল। বার্সার জন্য কাজটা সহজ ছিল না। কারণ চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের মাঠ সান সিরোতে সেমিফাইনালে কখনো হারেনি ইন্টার। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। ফর্মে থাকা ইন্টার শেষ ৯৭২ দিনে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের মাঠে অপরাজিত ছিল—১৫ ম্যাচে ১২ জয়, ৩ ড্র।
ম্যাচের শুরুটা দুর্দান্ত করে ইন্টার। লাওতারো মার্তিনেজ ও হাকান চালহানোয়লুর গোলে প্রথমার্ধেই ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় তারা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বার্সেলোনা। এরিক গার্সিয়া ও দানি ওলমোর গোলে সমতা ফেরায় কাতালান ক্লাবটি। এরপর ৮৮ মিনিটে রাফিনিয়ার গোল বার্সাকে ৩–২ ব্যবধানে এগিয়ে দেয় এবং জয়ের স্বপ্ন দেখাতে থাকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের একদম শেষ দিকে, অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ডেনজেল ডামফ্রিসের ক্রস থেকে হেডে গোল করে বার্সাকে স্তব্ধ করে দেন ইন্টারের ডিফেন্ডার ফ্রান্সেসকো আচেরবি। ম্যাচ সমতায় ফেরে, সান সিরোর গ্যালারিতে ফেরে প্রাণ।
দুই লেগ মিলিয়ে ৬–৬ সমতা থাকায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে ইরানি স্ট্রাইকার মেহদী তারেমির পাস থেকে অসাধারণ এক গোল করে দলের রক্ষাকর্তা হয়ে ওঠেন ডেভিড ফ্রাত্তেসি। তিনিই কোয়ার্টার ফাইনালেও বায়ার্ন মিউনিখের মাঠে জয়সূচক গোল করেছিলেন। এবার তাঁর গোলেই আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে নেরাজ্জুরিরা।
ম্যাচে বার্সেলোনার বেশ কয়েকটি সম্ভাব্য গোল ঠেকিয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান ইন্টারের গোলকিপার ইয়ান সোমার। শেষ পর্যন্ত তার অসাধারণ রক্ষণের জন্যই ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন তিনি। ৩১ মে মিউনিখে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে ইন্টার মিলান মুখোমুখি হবে ফরাসি ক্লাব পিএসজি অথবা ইংলিশ জায়ান্ট আর্সেনালের। দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপ সেরার মঞ্চে পা রাখতে যাওয়া ইন্টার এখন আত্মবিশ্বাসে ভরপুর।